প্রেক্ষাপট ও পটভূমি

রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। মনন ও দর্শনের বিবেচনায় এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্র। সমাজ-উন্নয়ন, শিক্ষাচিন্তা, ব্যবস্থাপনা-ভাবনা, সংস্কৃতিচর্চা ও নানা সৃজনশীল কর্মে নোবেলবিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনদৃষ্টি আমাদের পাথেয়। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও এখানে নানা ধরনের উদ্ভাবনী পদ্ধতির সংযোজন করা হয়েছে, যাতে শিক্ষাপ্রণালি আনন্দদায়ক হয় এবং উচ্চশিক্ষা উৎকর্ষসাধনের বাহন হয়।

 

একুশ শতকের জাতীয় ও বৈশ্বিক উভয় অর্থনীতিতেই সৃজনকলা সম্পর্কিত শিল্প-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ব্যাপক। দৈনন্দিন জীবনে ললিতকলা, চারু ও কারুকলা, অলঙ্করণ ও গণমাধ্যমের প্রভাব গভীর হলেও আমাদের জীবিকা ও পেশাগতচর্চায় তা এখনও যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটেই রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় নামে এই বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। এখানে দৃশ্যকলা ও পরিবেশনকলা, নকশা ও উদ্ভাবন, গণযোগাযোগ ও গণমাধ্যম, তথ্যপ্রযুক্তি, সমাজবিদ্যা ও ব্যবসাবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় সৃজনকলার ক্ষেত্রে অধ্যয়ন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে এমনভাবে গুরুত্ব দেবে, যাতে এখানকার শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে এই ধারার শিল্পের নানা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের জন্য উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে ওঠে।

 

আমাদের জনজীবনে শিক্ষাজীবী, গবেষক, চারুশিল্পী, বিন্যাস-পরিকল্পক কিংবা পরিবেশন শিল্পীগণ স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে সক্রিয় থাকলেও পরস্পরের পেশায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকেন না। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্য এমন, যাতে বিষয়গত সংযোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিল্পের কর্মবাস্তবতায় উপযোগিতার প্রসার ঘটাতে পারে। পাশাপাশি স্ব স্ব ক্ষেত্রের দিকপাল ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা, উপদেশ ও কার্যকর সহযোগিতা পেয়ে শিক্ষার্থীরাও নিজেদের পাঠ্যবিষয়ে গভীর ও বাস্তব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে এবং দেশ ও বিদেশের সমসাময়িক সৃজনক্ষেত্রে উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে বিদ্বান ব্যক্তিদের অঙ্গীকার ও গভীর অভিনিবেশ দ্বারা রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচি সাজানো।